আরেকটা গণঅভ্যুত্থান হতে পারে: রাশেদ খাঁন

স্টাফ রিপোর্টার:
রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে— এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খাঁন লেখেন, “আমি মনে করি না বয়স্ক উপদেষ্টারা দুর্নীতি করেছে। এমন তথ্যও শোনা যায় না। মূলত তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক জ্ঞানের ঘাটতির কারণেই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের অংশ হয়েও তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। অথচ এই উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা রাখেননি, হাসিনার বিরুদ্ধেও কখনো রাজপথে নামেননি। বৃদ্ধ বয়সে নাতিপুতির সঙ্গে সময় কাটানোর মানুষগুলোকে প্রলোভন দেখিয়ে সরকারের উপদেষ্টা বানিয়ে ভুল করেছে কিছু ছাত্রনেতৃত্ব।”
তিনি আরও লিখেন, “অদক্ষ ব্যক্তিদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দায় পুরোপুরি সেই ছাত্রনেতৃত্বের। তাদের ভুল সিলেকশনের কারণেই এতবড় গণঅভ্যুত্থানের পরেও রাষ্ট্রের কোনো গুণগত পরিবর্তন হয়নি। এখন সেই ছাত্রনেতৃত্বরাই স্বীকার করছে যে, তারা ভুল করেছে। এই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো জাতিকে।”
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, “রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটা গণঅভ্যুত্থান হলেও হতে পারে। তখন সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হতে পারে তাদের, যাদের ভুলের কারণে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমদের রক্ত বৃথা গেছে। তখন ‘সেইফ এক্সিট’ খুঁজতে হবে না বয়স্ক উপদেষ্টাদের— কারণ প্রাকৃতিক নিয়মেই তখন তারা থাকবেন না। বরং সেই এক্সিট খুঁজতে হবে এখনকার কিছু নেতৃত্বকে, যারা এখনও ভুলের পর ভুল করে চলেছে।”
তবে পোস্টের শেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে লিখেছেন, “কোনো ভুল না করে যদি আগামী পাঁচ মাস পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের পথ তৈরি করা যায়— তাহলে কারোরই সেইফ এক্সিট লাগবে না। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যেতে পারব।”

























