রাত আটটায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলের মহাযুদ্ধ: বাংলাদেশ বনাম হংকং

স্পোর্টস ডেস্ক :
চার মাস পর আবারও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ ও হংক ম্যাচকে ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল উৎসবে মেতেছে সমর্থকরা। দুদলের ম্যাচ রাত আটটায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামে দর্শকের ঢল নামে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা ফুটবলপ্রেমীদের পদচারণায়মুখর হয়ে উঠে। বেলা পৌনে চারটায় স্টেডিয়ামের গুলিস্তানগামী এক নম্বর গেইটে দেখা যায় বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে হাজারো সমর্থকরা জড়ো হয়েছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সামগ্রী নিয়ে দোকান সাজিয়েছে। একই চিত্র দেখা যায় বাইতুল মোকাররমেরমুখী চার নম্বর গেইটেই। আরেকবার ফুটবল ম্যাচ দর্শকদের মাঝে আন্দোৎসবের এক উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে।
দর্শকের মধ্যে উল্লাস-উচ্ছ্বাস দেখা যায় স্টেডিয়ামের ভেতরেও। চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে থেকেই জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকের পূর্ণ হতে থাকে। বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের টিকিট এবারও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করেছে ফুটবল ফেডারেশন। টিকিট ছাড়ার আধঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায় বলে জানায় বাফুফে। ফুটবল ঘিরে দর্শকের আগ্রহ যে অনেকগুণে বেড়েছে- সেটি স্টেডিয়ামের তাদের উপস্থিতিই বলে দেয়।
বাংলাদেশ ২:১ হংকং। এমন লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জাকির হোসেন নামের একজন ফুটবল সমর্থকের সঙ্গে জাতীয় স্টেডিয়ামে কথা হয়। তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘এবার হোম গ্রাউন্ডে খেলা। তাই হংকংয়ের বিপক্ষে জয় আশা করছি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গত ম্যাচেও বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি। এবার আশা করি হতাশ হবে না। এজন্যই এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছি।’ তিন ঘণ্টা আগেই শাহ আলম নামের আরেকজন ফুটবল সমর্থক শান্তিনগরের শান্তিবাগ থেকে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সব খেলাই স্টেডিয়ামে বসে দেখি। এমনকি ঘরোয়া লিগের খেলাও মাঠে গিয়ে দেখি। আশা করি, এবার হংকংকে হারাবে বাংলাদেশ। তবে শুনেছি, ব্রাজিলের পাঁচ ফুটবলার নিয়ে নাকি এসেছে হংকং। তাতে ম্যাচটি কঠিন হতে পারে।’
গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচকে ঘিরে যে উত্তাপ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দর্শকদের মাঝে, তা দেখা যায় হংকং ম্যাচেও। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেরে দর্শকদের হতাশ করলেও এবার জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। গত ম্যাচে দর্শকদের সামাল দেওয়া যায়নি। স্টেডিয়ামের গেইট ভেঙে দর্শকরা প্রবেশ করেছেন। তাই এবার বাড়তি সতর্ক বাফুফে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে দায়িত্ব পালনে কঠোর অবস্থান নেয়। সব মিলিয়ে ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ত্রুুটি রাখছে না স্বাগতিক বাংলাদেশ।

























