শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী সিলেট থেকে উদ্ধার, গ্রেফতার-২

স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত রীমা রানী সরকার (১৫) নামের এক কিশোরীকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনায় জড়িত তার আপন খালা শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম এবং খালু মোবারক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার সপ্তমীতে আরকে মিশন রোডের দুর্গা মন্দিরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রীমা রানী সরকার। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা মতিলাল বিশ্বাস শ্রীমঙ্গল থানায় বদরুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি রুজু হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ ধারায় (মামলা নং-০৮, তারিখ: ০৫/১০/২৫)।
মামলার পরপরই শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ পুলিশ সুপার (মৌলভীবাজার)-এর নির্দেশনায় একাধিক চৌকস টিম গঠন করে অভিযান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমলগঞ্জ এলাকা থেকে প্রথমে এজাহারনামীয় দুই আসামি বদরুল আলম (২৫) ও শহিদ মিয়া (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়।
তবে তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য না পাওয়ায় পুলিশ আরও গভীর অনুসন্ধানে নামে। এসময় ভিকটিমের আরেক খালা প্রিয়াংকা সরকারের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সেটির কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হয়। সেই সূত্র ধরে জানা যায়, ভিকটিমকে দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর এলাকায় শিল্পী সরকার ও তার স্বামী মোবারক মিয়া আটকে রেখেছে।
পুলিশ পরবর্তীতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রীমা রানী সরকারকে উদ্ধার করে এবং শিল্পী সরকার ও মোবারক মিয়াকে আটক করে।
তদন্তে জানা যায়, শিল্পী সরকার নিজেও রীমার আপন মাসি। প্রায় দুই বছর আগে মোবারক মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করেন তিনি। পরে এই দম্পতি কিশোরী রীমাকে কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে সিলেট নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।


















