সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা

ভয়েস অব শ্রীমঙ্গল ডেস্ক :
ড্রাই ফ্রুট বা শুকনা ফল হিসেবে অনেকেই আমরা কিশমিশ খেয়ে থাকি। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরে জাদুর মতো কাজ করে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিশমিশের তুলনা নেই। তাই কিশমিশ ভেজানো পানিকে ‘সুপার ড্রিংক’ বলা হয়ে থাকে।
কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করার অভ্যাস এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিশমিশ ভেজানো পানি নিয়মিত খেলে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ, হজমশক্তি বৃদ্ধি এবং শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নেই কিশমিশ ভেজানো পানির ৫টি প্রধান উপকারিতা-
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাপোর্ট
কিশমিশে রয়েছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল দূর করে, কোষের ক্ষয় রোধ হয় এবং বয়সজনিত সমস্যা ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. হজমশক্তি বৃদ্ধি
কিশমিশে থাকা দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ (ফাইবার) অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রাতে ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশ নরম হয় এবং হজমে সুবিধা হয়। এছাড়া এতে থাকা প্রিবায়োটিক যৌগ অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা হজম ও পুষ্টি শোষণে সহায়ক।
৩. আয়রন ও শক্তির যোগান
কিশমিশে রয়েছে প্রাকৃতিক আয়রন। যা রক্তকণিকা তৈরিতে জরুরি। বিশেষ করে কালো কিশমিশের থেকে সোনালি কিশমিশে বেশি আয়রন থাকে। নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে রক্তে আয়রনের ঘাটতি কমে, ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীরে অক্সিজেন প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।
৪. হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক
কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কিশমিশ খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। আঁশ, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একসঙ্গে কাজ করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
৫. ত্বকের সৌন্দর্য সহায়ক
কিশমিশে থাকা ভিটামিন সি ও ই ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বকের ক্ষত মেরামতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশ পানি পান করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। তবে এটি ত্বকের যত্নের একমাত্র সমাধান নয়, বরং একটি সহায়ক অভ্যাস।
কালো কিশমিশ নাকি সোনালি কিশমিশ
> কালো কিশমিশ রোদে শুকানো হয়, তাই এতে থাকে বেশি আয়রন, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
> সোনালি কিশমিশ সালফার ডাই-অক্সাইড দিয়ে প্রক্রিয়াজাত ও মেশিনে শুকানো হয়, ফলে এগুলো তুলনামূলক নরম ও মিষ্টি।
> যারা স্বাস্থ্যগত উপকার চান, তাদের জন্য কালো কিশমিশ বেশি উপযোগী। আর যারা স্বাদে মিষ্টি ও নরম চান, তাদের জন্য সোনালি কিশমিশ ভালো বিকল্প।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

























