1. admin@voiceofsreemangal.com : admin :
  2. suzannamichell@solstris.com : coralbarreiro23 :
  3. cecilewiley@solstris.com : dominiquecrump :
  4. earnestinechauncey@solstris.com : ermamorwood295 :
  5. jadajaime@solstris.com : haiguenther :
  6. lateshacandida@solstris.com : jeroldmccorkinda :
শ্রীমঙ্গল ০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় বেপরোয়া পিকআপের ধাক্কায় নিহত বড়লেখার মারওয়ান শ্রীমঙ্গলে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা ৮ দফা দাবিতে শমশেরনগরে রেলপথ অবরোধের সমর্থনে মানববন্ধন টিকিটবিহীন যাত্রী ও কালোবাজারি রোধে রেলওয়ের অভিযান ৩০ অক্টোবর থেকে ‘মৌলভীবাজার হাফ ম্যারাথন ২০২৬’-এর রেজিস্ট্রেশন শুরু মৌলভীবাজারে যুব মজলিসের শাখা দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী সিলেট থেকে উদ্ধার, গ্রেফতার-২ শ্রীমঙ্গলে গ্রাম পুলিশের ৫ম বার্ষিকী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত শনিবার মৌলভীবাজারের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না মানব সম্পদ বিনির্মাণে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা
বিজ্ঞপ্তি :
অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ভয়েস অব শ্রীমঙ্গল’ এ আপনাকে স্বাগতম। দেশব্যাপী জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস (মাদরাসা-কলেজ) প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন- ০১৬০১-৬০৮৬৮৮।

২০ দিনের বিরতির পর আবারও বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইন

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে পুশইন কার্যক্রম চালিয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের নিউ পাল্লাথল বিওপি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, এরা সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নিউ পাল্লাথল বিওপির টহল দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় সন্দেহভাজন এই ১৩ জনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, “সীমান্তের ওই অঞ্চলটি ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও পুশইন শুরু করেছে বিএসএফ। আজ ভোরে আটককৃতদের নাম-পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। যাচাই শেষে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হবে।”

বিএসএফের এই আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা জানান, বারবার এইভাবে মানুষ ঠেলে দেওয়া সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিবার পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই অপরিচিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।”

এর আগে গত ২৪ মে রাতে একই সীমান্ত দিয়ে ১২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছিল বিএসএফ। তখনও বিজিবি তাদের আটক করে পরিচয় নিশ্চিত করার পর থানায় সোপর্দ করেছিল। পরে থানা পুলিশ যাচাই-বাছাই করে স্বজনদের জিম্মায় তাদের মুক্তি দেয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের বারবার পুশইন কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং দুই দেশের সম্পর্কের দিক থেকেও বিষয়টি উদ্বেগজনক। সীমান্তে এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ৬৮৫ বার পড়া হয়েছে
Logo
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ফজর৪:৩৮
যোহর১১:৪৬
আসর৪:২৬
মাগরিব৫:৩৮
ইশা৬:৪৯
সূর্যোদয় :৫:৫৩সূর্যাস্ত :৫:৩৮

২০ দিনের বিরতির পর আবারও বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইন

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে পুশইন কার্যক্রম চালিয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের নিউ পাল্লাথল বিওপি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, এরা সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নিউ পাল্লাথল বিওপির টহল দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় সন্দেহভাজন এই ১৩ জনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, “সীমান্তের ওই অঞ্চলটি ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও পুশইন শুরু করেছে বিএসএফ। আজ ভোরে আটককৃতদের নাম-পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। যাচাই শেষে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হবে।”

বিএসএফের এই আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা জানান, বারবার এইভাবে মানুষ ঠেলে দেওয়া সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিবার পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই অপরিচিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।”

এর আগে গত ২৪ মে রাতে একই সীমান্ত দিয়ে ১২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছিল বিএসএফ। তখনও বিজিবি তাদের আটক করে পরিচয় নিশ্চিত করার পর থানায় সোপর্দ করেছিল। পরে থানা পুলিশ যাচাই-বাছাই করে স্বজনদের জিম্মায় তাদের মুক্তি দেয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের বারবার পুশইন কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং দুই দেশের সম্পর্কের দিক থেকেও বিষয়টি উদ্বেগজনক। সীমান্তে এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।